থার্ড পার্টি স্টোর কি? কেন দরকার হয়? অ্যাপস্টোরে না থাকা অ্যাপগুলা কীভাবে পাবে? তুমি তো আইফেন ইউজার মডেড গেম চালাতে পারো নাকি? এই রকম বেশ কিছু প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে লেখাটি সাজানোর চেষ্টা করবো। এবং শেষ বেশ কিছু জনপ্রিয় স্টোরের লিংক দিয়ে দিবো।
নাম থেকেই অনুমান করা যায় অনেকটা। এরা ওয়েববেইজড কিছু স্টোর। কিন্তু অ্যামাজোন,ই-বে এর মতো এখানে অতো জিনিসপত্র না থেকে আইফোনের অ্যাপস থাকে।
আমরা সবাই অ্যাপলের সিকিউরিটি,কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে অবগত। অ্যাপস্টোরে কখনও “৩০ দিনে এমবিবএস ডাক্তার হওয়ার অ্যাপ পাবেন না” (দুঃখজনক ব্যাপার :’()
বেশ কিছু অ্যাপ আছে যেগুলো কখনই অ্যাপস্টোরে অ্যাপ্রুভ হয় না। এখানে বলে রাখা ভালো যে তার পেছনে অনেক নির্দিষ্ট কারণ আছে। অ্যাপল কখনও সিকিউরিটি,প্রাইভেসি এর সাথে কোনো কম্প্রোমাইজ করে না। এখন যদি কোনো অ্যাপ এর মধ্যে এসব বিষয়জনিত কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেগুলা পাবেন না অ্যাপস্টোরে। আবার কোনো অ্যাপ এর মডিফাইড ভার্সনও পাবেন না। এই রকম নানা সীমাবদ্ধতা থেকেই থার্ড পার্টি স্টোরের জন্ম হয়।
থার্ড পার্টি স্টোরে কি কি পাচ্ছেন-
- অ্যাপস্টোরে না থাকা অ্যাপগুলো।
- বেশ কিছু অ্যাপ এর মডেড ভার্সন। যেমনঃ YouTube++।
- প্রিমিয়াম হ্যাকড অ্যাপ।
- পেইড গেম,অ্যাপগুলো ফ্রী-তে ডাউনলোড করার সুবিধা।(অন্যায়! অন্যায়! অন্যায়! ...)
এখন একটু সহজবোধ্য ভাষায় সংক্ষেপে বলে নেই এই স্টোর গুলা কিভাবে কাজ করে তাহলে পরবর্তীতে সুবিধা হবে। এই স্টোর গুলা অ্যাপল থেকে সার্টিফিকেট কিনে নেয়। অ্যাপ সাইন করানোর জন্য সার্টিফিকেট কেনা লাগে। এরা এন্টারপ্রাইজ সার্টিফিকেট কিনে অ্যাপগুলো সাইন করায়। তারপর তাদের সাইটে হোস্ট করে। সার্টিফিকেট এক উপর ভিত্তি করে ১০হাজার ডলারও হতে পারে। আর তারপর আমরা ফ্রীতে ডাউনলোড করি।
এখন একটা সমস্যা হলো এই অ্যাপগুলার বেশিরভাগই ডাইনলোড করার কিছুদিন পর আর কাজ করে না। এর কারন হলো সার্টিফিকেট গুলার রিভোক হয়ে যাওয়া। সোজা কথায় অ্যাপল যখন বুঝতে পারে দুই নাম্বারি হচ্ছে তখন ঐ সার্টিফিকেট গুলা বাতিল করা দেয় যার ফলে আপনার ফোনে ইনস্টল করা অ্যাপগুলাও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। AntiRevoke VPN এর ব্যাপারটা নিয়ে নিচে আলোচনা করবো।
যেভাবে ব্যাবহার করবেন-
- আপনাকে অবশ্যই সাফারি ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে।
- স্টোরের ওয়েব সাইটে যাবেন অ্যাপ সিলেক্ট করে ইনস্টল করবেন।
- ফোন থেকে Settings->General->Profiles & Device Management এ গিয়ে সার্টিফিকেটের নামে টাচ করে ট্রাস্ট সিলেক্ট করে ব্যবহার করা শুরু করবেন।
আসলেই এতোটাই সহজ। শুধু সমস্যা হলো পছন্দের,প্রয়োজনীয় অ্যাপটি খুঁজে বের করা। অনেক অনেক স্টোরের মধ্য থেকে আপনার প্রয়োজনীয়
অ্যাপটি খুঁজে পেতে একটু কষ্ট হতে পারে। তবে এটুকু তো করাই যাই,তাইনা?
কতটুকু সেইফ?
- পুরো প্রসেসটাকে ৯৯.৯৯% সেইফ বলবো। কারন কোনো অ্যাপই আপনার ফোনের রুট অ্যাকসেস করতে পারবে না জেইলব্রেক ছাড়া। আর তেমন কোনো রিপোর্টও পাওয়া যায় নি এই ব্যাপারটা নিয়ে। তবে আমার মতামত থাকবে এখান থেকে কোনো ভিপিএন ইউজ না করা।
AntiRevoke কী?
- আগেই বলেছি এইখানে সার্টিফিকেট এবং সাইনিং নিয়ে খেলা হয়। তো অবশ্যই সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার নির্দেশটা অনলাইনেই ফোনে আসবে,সিস্টেম জানতে পেরে কেল্লা-ফতে করে দিবে। কেমন হয় যদি সিস্টেমকে জানতেই না দেই? এইরকম চিন্তা থেকেই AntiRevoke এর উৎপত্তি। অ্যাপলের যেসব সার্ভারগুলা এই নির্দেশ নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলোকে vpn এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ফিল্টারিং করে ব্লক করে দেয়াই এই জিনিসটার কাজ।
- কিন্তু তেমন কোনো কাজেরই না। অ্যাপল তাদের সার্ভার চেন্জ করতেই থাকে, আর অ্যাপের সার্টিফিকেটও যেতেই থাকে। আর VPN সারাক্ষণ চালু রাখতে হয় যেটা ফোনের ব্যাটারি লাইফকে খেয়ে নেয়। আর ফোন একবার বন্ধ করে চালু করলেই শেষ! তবুও মনে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে NessTool ব্যবহার কইরেন না।
বেশ কিছু জনপ্রিয় স্টোর-
- AppValley
- PandaHelper
- TweakBox
- AppEven
- TutuApp
- Ignition (যেইলব্রেক করারগুলা এইটা থেকে ডাউনলোড করার জন্য সাজেস্ট করবো)
No comments:
Post a Comment